“কেবল হৃদয় দিয়েই আপনি আকাশ ছুঁতে পারেন”
— রুমি
জালালুদ্দিন রুমি নামটির সাথেই যেন জড়িয়ে আছে হাজারও আধ্যাত্মিক কবিতার লাইন। বাল্যকালে বাবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষাজীবন শেষ করে, সেই প্রতিষ্ঠানেই শিক্ষকতার মাধ্যমে কর্মজীবন শুরু করেন। বেশ কিছু ধর্মীয় বিষয় ব্যাখ্যা করে শিক্ষকতায় বেশ সুনাম অর্জন করেন। কিন্তু এক দরবেশের (সুফি সাধক) সাথে পরিচয় তাঁর পুরো জীবনকে বদলে দেয়। তিনিও হঠাৎ করেই নিরুদ্দেশ হয়ে যান শামস-ই-তাবরিজ নামের সেই পাগলাটে দরবেশের সাথে। তাঁদের মধ্যে এতটাই গভীর সম্পর্ক তৈরি হয় যে, রুমি তার লেখা কবিতাগুলা স্বাক্ষর করতেন শামস-ই-তাবরিজের নামে। একজন আফগান লেখক এ সম্পর্কে বলেছিলেন, রুমির লেখাগুলো হয়তো অনায়াসেই তার মৃত্যুর পরেও ১০০ বছর টিকে থাকতো; কিন্তু শামস-ই-তাবরিজের সান্নিধ্য রুমিকে আজও টিকিয়ে রেখেছে।
বেশ কয়েক বছর পর শামস-ই-তাবরিজ গায়েব হয়ে যান। এরপরেই রুমি, মাসনাভি-ই-মানআভি নামের ১ হাজার পৃষ্ঠার একটি কবিতা রচনা করেন। ইংরেজিতে যাকে 'The Spiritual Manuscript' এবং বাংলায় 'আধ্যাত্মিকতার পাণ্ডুলিপি' বলা হয়। এছাড়াও জালালুদ্দিন রুমি ৩০ হাজার ছন্দময় গদ্য রচনা করেন। তাঁর এসকল অমর সৃষ্টির পরতে পরতে রয়েছে আধ্যাত্মিকতার অমৃত সুধা, যা পরবর্তীতে রুমির অসংখ্য ভক্ত তৈরি করেছে। এভাবেই রুমি তাঁর কবিতাগুলোর মাধ্যমে সুফিবাদকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। ১২৭৩ সালের আজকের এই দিনে এই মহান সুফি ইন্তেকাল করেন।